সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়ক ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপ ফাঁস হয়। সেখানে তিনি মাহিকে দ্রুত দেখা করতে বলে ধর্ষণের হুমকি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে আসার ধমকি দেন।
অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
এর আগে ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী মৌসুমীকে নিয়েও কটাক্ষ করেছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। একটি সিনেমার মহরতে মৌসুমীকে নিয়ে বলেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ অসাধারণ একটি সিনেমা। সুপার-ডুপার হিট। মৌসুমী এখনো অভিনয় করছেন। সবই ভালো, শুধু ওয়েটটা কমাতে হবে। ফিল্মে যারা অভিনয় করবেন, তাদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, ওয়েটটার দিকে নজর রাখবেন।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি আবারও ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার মহরতে কথা বলেন ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, ‘এর আগে মৌসুমীকে নিয়ে কথা বলেছিলাম। অনেকেই মাইন্ড করেছেন। মৌসুমীকে টার্গেট করে বলেছি, তা তো নয়। আমি সবাইকে বলেছি। একজন নায়িকার ওয়েট কন্ট্রোল করতে হবে। নায়িকার ভূমিকায় কেউ যদি এমন “মোটাসোটা” হয়, এতে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।’
এ সময় তিনি চিত্রনায়িকা শিরিন শিলার দিকে তাকিয়ে তার ফিগারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘দেখেন শিরিন শিলা সুন্দর পাতলা স্লিম।’ সেখানে তিনি আদর্শ ফিগার হিসেবে ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ, কারিনা কাপুরদের নাম উল্লেখ করেন।
ডা. মুরাদ হাসান ছাত্রজীবন শুরু করেন ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে। আর ছাত্রজীবন শেষ করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের সব সুবিধাই ভোগ করেন মমেকের ছাত্ররাজনীতিতে।
জানা যায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান মমেকের ৩০ ব্যাচের ছাত্র। ভর্তি হন ১৯৯৪ সালে। এর এক বছর পরই তিনি বাগিয়ে নেন মমেক ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের পদ। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তাই মুরাদ হাসানও সরাসরি যুক্ত হন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে।
২০১৯ সালের মে মাসে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।