গোলাপগঞ্জ (সিলেট): সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। লন্ডনের গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গীক ও জনহানিকর বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর (খ) ও (ঘ) অনুযায়ী মেয়র পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ করেন তিনি। সোমবার (৫ ডিসেম্ভর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রের জন্য হানিকর বক্তব্য রেখেছেন। যা আইন অনুযায়ী অপসারণযোগ্য অপরাধ।
প্রজ্ঞাপনে তার বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, আপনি স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ উপ-ধারা ১) ও (খ) মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে হানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রমাণ হওয়ায় অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করে সরকার। সেহেতু স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী আপনাকে গোলাপগঞ্জের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সম্প্রতি লন্ডনে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে যাই। সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে মিটিং করি, এলজিইডি মিনিস্টারের সঙ্গে মিটিং করি। তাদের কাছ থেকেই আমাদের ফান্ড সংগ্রহ করতে হয়। ওখানে বিরাট একটা পার্সেন্টিজ দিতে হয়। আপনি ১০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে আসলেন। সেখানে পাঁচ পার্সেন্ট আগেই দিয়ে আসতে হয়। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র আখ্যায়ীত করে তিনি বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের মানুষের এখনও চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। এমন বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষজনের ভাবমুর্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের লন্ডনে দেয়া তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। এমন আলোচনার মধ্যেই তাকে বহিস্কার করলো মন্ত্রণালয়।
এ ব্যাপারে সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।