ফেসবুক লাইভে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের নিয়েও একইরকম বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসা ব্যক্তির মুখের ভাষা শুনে মনে হচ্ছে, আমরা দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে৷ এই লোক এতোবড় স্পর্ধা নিয়ে কথা বলে যদি বহাল তবিয়াতে থাকে, তাহলে দলের সবাইকে বলছি, রাজনীতি করা একটি মেয়েও যদি নৈতিক, চরিত্রবান থেকে থাকে তার দীর্ঘশ্বাস থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।’
শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিশিতা ইকবাল বলেন, ‘দলীয় কিংবা বিরোধী দলের নারী হোক না কেন, কোনো নারী সস্পর্কেই প্রতিমন্ত্রী এভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন না৷’ এ ব্যাপারে জানতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে ফোন করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অশোভন এবং নারীবিদ্বেষী’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী নারীদের সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।
কাবেরী গায়েন আরও বলেন, মুরাদ হাসান বাংলাদেশের নারী সমাজের চরিত্র হনন করেছেন। জনগণের সেবক হতে তিনি যে শপথ নিয়েছিলেন সে হিসেবে এটা তিনি করতে পারেন না। তিনি নারীবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ এবং যে ধরনের অশোভন শব্দ-বাক্য চয়ন করেছেন, এতে তিনি প্রজাতন্ত্রের প্রতিমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
