বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকার আইনি সুযোগ খুঁজছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এর আগে, খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য দুটি আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এখন আমরা এ বিষয়ে আর কোনো সুযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। সব যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত, যাতে আইন লঙ্ঘন না হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এরই অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব না হলে এ সংখ্যা এতদিনে হয়তো ১৫০০ ছাড়িয়ে যেত। দেশিও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে আমরা ডিজিটাইজেশনের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু এর কুফলও আছে। সেটা হচ্ছে সাইবার অপরাধ। এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই আইনে যেসব অপরাধ আনা হয়েছে, তা পেনাল কোডেও আছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল। উত্তর হচ্ছে পেনাল কোডে যেটা আছে, সেটা ডিজিটাল মাধ্যমে করলে আইনের দিক থেকে তা অপরাধ নয়। সেজন্যই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের পাতায় পাতায় গণতন্ত্রকে জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য করা হয়নি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।