‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ। দেশের শীর্ষ ব্যবসাসফল এ সিনেমার নায়িকা অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের পর্দায় নেই। ২৩ বছর আগে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান কলকাতায়। এরপর দেশের সঙ্গে তার তেমন একটা যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তবে মাঝে কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় পত্রিকা এইসময়’র বরাতে জানা গেছে, এক সময়ের বিখ্যাত এ নায়িকা এখন থাকেন কলকাতার সল্টলেকে, ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই। কীভাবে কাটছে তার দিন, কেনইবা বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছেন- অনেক অনেক প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা।
বেশ অবসর সময় কাটাচ্ছেন অঞ্জু ঘোষ। জানান, স্টললেকের বাড়িতে বাগান পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। নায়িকার ভাষ্য, ‘প্রয়োজন থাকলে মাঝেমধ্যে বাইরে যেতে হয়। তবে আমার কখনও মনে হয় না যে সময় কাটছে না। একটা বাড়ি দেখাশোনা করা, পরিষ্কার রাখাটাও অনেক সময়ের কাজ। এসব করছি। রান্নাবান্না করি। অনেক বেশি সময় কাটাই বাগানেই।’
অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। যদিও বছর দুই আগে তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল কলকাতায়। ভারতীয় দল বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও নরেন্দ্র মোদির দলের দাবি ছিল, অঞ্জু ঘোষ বাংলাদেশে বড় হলেও তার জন্ম কলকাতাতেই।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গান গাইতেন তিনি। ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেন নাটকে। চট্টগ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময়ে তিনি শুরু করেন অভিনয়। ১৯৮২ সালে এফ কবির চৌধুরীর ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হয় সিনেমার পর্দায়। ১৯৮৯ সালে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ মুক্তি পাওয়ার পর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান অঞ্জু ঘোষ।
সিনেমার ক্যারিয়ারে এপার-ওপার বাংলা মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি সিনেমায় কাজ করেছেন অঞ্জু ঘোষ। গুঞ্জন আছে- অভিমান করেই বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন তিনি। কার ওপরে এত অভিমান- সেটা জানতে চাইলেও একাধিকবার তা এড়িয়ে গেছেন। শুধু বলেছেন, ‘এই সব নিয়ে কিছুই বলতে চাই না।’