কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Slider জাতীয়


কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। নগরীর সংরাইশ এলাকায় সোমবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজেন। কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক পরিমল দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার দুই আসামি সংরাইশ ও নবগ্রামে অবস্থান করছে, এমন তথ্যে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে অংশ নেয় কোতয়ালি মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম।

তিনি জানান, সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, তাজা গুলি ও গুলির খোসা জব্দ হয়েছে। স্থানীয়রা তাদেরকে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যার আসামি বলে শনাক্ত করেন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাব্বির হোসেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সোহেলসহ জোড়া খুনের মামলায় ৩ নম্বর আসামি। তার পিতার নাম রফিক মিয়া। বাড়ি সুজানগর পানির ট্যাঙ্কির পাশে। আরেকজন সাজন একই মামলার ৫ নম্বর আসামি। তার পিতার নাম কাকন মিয়া। সংরাইস রহিম ডাক্তারের গলিতে তার বাড়ি।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন পাঁচজন। এ ঘটনায় কুমিল্লাসহ দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হত্যার ঘটনায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১০-১২ জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *