মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির চেষ্টা রুখে দিতে কাফনের কাপড় পরে কর্মী-সমর্থকদেরকে কেন্দ্রে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
তিনি বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতি রুখতে আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা কাফনের কাপড় পরে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবো। জীবন দেবো তবু কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি হতে দেবো না।’
শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বরের ভোটকে কেন্দ্র করে নিজেই কাফনের কাপড় পরে মাঠে নামেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: আবুল বাসার নাসির হাওলাদার। সাথে তার কর্মী-সমর্থকরাও কাফন পরিধান করেন।
‘কাফনের কাপড়’ পরা কর্মী-সমর্থকদের এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার পর উপজেলাজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ২ ও ৩ জন স্বতন্ত্রসহ ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুল হক লিটন (নৌকা) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: আবুল বাসার নাসির হাওলাদারের (আনারস) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মেরে জয় ছিনিয়ে নেয়ার শংকা প্রকাশ করেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: আবুল বাসার নাসির হাওলাদার বলেন, ‘২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র দখল করে জয় ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি রুখতে আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা কাফনের কাপড় পরে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবো। জীবন দেবো তবু কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি হতে দেবো না।’
উল্লেখ্য, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে ১০টি ভোটকেন্দ্রে রোববার ভোটগ্রহণ করা হবে। মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৫ জন, এর মধ্যে নারী ভোটার ৯ হাজার ৩৮৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৫৭১ জন।