যুবককে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

Slider গ্রাম বাংলা


রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের রঙ্গিলা এলাকায় বাসার সামন থেকে যুবককে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের পর বিদ্যুৎতের খুঁটিতে বেঁধে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার যুবকের নাম মো. মাজহারুল ইসলাম (৩০) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার চরআগলগী ইউনিয়নের জয়েরচর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে শ্রীপুর উপজেলার রঙিলা বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে কাচামালের ব্যবসা করেন।
নির্যাতনের শিকার মো. মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী বীথি আক্তার বলেন, সকাল সাড়ে আটটার সময় স্থানীয় স্কুল শিক্ষক জায়েদুল ইসলামের ছেলে মুন্না ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির সামন থেকে তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর এমসি বাজার এলাকায় কলাবাগান নামক স্থানে নিয়ে অমানবিক ভাবে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনকারীরা তার পিঠে ও পায়ের বিভিন্ন অংশে মারপিট করে। পরবর্তীতে নির্যাতনকারীরা সড়কের পাশে একটি বিদ্যুৎতের খুঁটিতে বেঁধে পালিয়ে যায়।

নির্যাতনের শিকার মাজাহারুল ইসলাম জানান, সকালে বাড়ির সামনে একটি বেঞ্চে বসেছিলাম। এসময় স্থানীয় স্থানীয় মুন্নার নেতৃত্বে পাঁচজন যুবকে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। কলা বাগানে তুলে নিয়ে মারপিট শুরু করে। মারপিট করার সময় নির্যাতনকারীরা তার পরনের লুঙ্গি খুলে নেয়। পরে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তাকে সড়কের পাশে খুঁটিতে বেঁধে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা। উলঙ্গ অবস্থায় খুঁটিতে বাঁধা দেখতে পেয়ে লোকজন তাকে একটি গামছা পরিয়ে দেয়। মাজহারুল ইসলাম নির্যাতনকারীদের মধ্যে তিনজন কে চিনতে পেরেছেন। এই তিনজনের নাম প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজনের কাছে। চিনতে পারা তিনজন হলেন, মুন্না, জাহিদুল ও ইমরান।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবককে উদ্ধার করেছি। পরে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার যুবকের পক্ষে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *