বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অডিও ক্লিপ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। এরই মধ্যে তাকে জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভও হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমবার ফেসবুক লাইভে এলেন তিনি। তবে তিনি কোথায় আছেন তা কেউ জানেন না।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে আসেন আব্বাস। কথা বলেন ১৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। লাইভে এসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অকপটে স্বীকার করেন তার ওই মন্তব্যের কথা।
দোষ স্বীকার করে মেয়র আব্বাস বলেন, অনেকদিন আগে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন একটি ঘরোয়া বৈঠকে। সেখানকার তোলপাড় করা এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন আব্বাস।
তিনি বলেন, এই অডিও ক্লিপটা নিয়ে আজকে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। তবে আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করিনি। বঙ্গবন্ধুকে প্রচণ্ড ভালোবাসি এবং তার আদর্শ ধারণ করে চলি। তার সম্পর্কে কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। কিন্তু ম্যুরাল নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য ছিল। আজকে এই বিষয়টি আমি সবার কাছে তাই স্পষ্ট করতে চাই।
আব্বাস বলেন, কাটাখালী মাদ্রাসার বড় হুজুরের আপত্তির কারণে তিনি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের কাটাখালী পৌরসভা গেট নির্মাণস্থলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন থেকে সরে আসেন। তবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল সেখানে নির্মাণ করার কথা তিনি এর অনেক আগেই তার ফেসবুকে প্রচার করেছিলেন।
মেয়র বলেন, আমি একজন মুসলমান। তাই একজন আল্লাহওয়ালা লোকের কথা শুনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এটা আমার যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা চাই। তবে এর জন্য আমাকে নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যে শাস্তি আমি সহ্য করতে পারছি না। বাড়িতে আমার মা অসুস্থ।
আব্বাস আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবারকে নানাভাবে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর ছোট একটি ভুলের কারণে আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র কেন করা হচ্ছে, তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমি তুলে ধরব আগামী ফেসবুক লাইভে।