রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মূল দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে যৌথ সভা করেন মির্জা ফখরুল। সেখানে এসব কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা জানান, অন্তত শান্তিপূর্ণ ও অহিংস পদ্ধতিতে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব কর্মসূচি গত সোমবার স্থায়ী কমিটিতেই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কোনো ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি এড়িয়ে যেতে দলের মূল নেতৃত্বের নির্দেশনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং সম্পাদকমণ্ডলীয় নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আমাদের এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৫শে নভেম্বর যুবদলের সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি এবং ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি জন্য দোয়া মাহফিল হবে। একইভাবে মন্দির-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ২৮শে নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। ৩০শে নভেম্বর বিএনপির উদ্যোগে বিভাগীয় শহরগুলো সমাবেশ করা হবে। ১ ডিসেম্বর ছাত্রদলের উদ্যোগে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে ২ ডিসেম্বর। কৃষক দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে ৩ ডিসেম্বর এবং ৪ ডিসেম্বর মহিলা দলের উদ্যোগে মৌন মিছিল করা হবে।
বিএনপির চলমান কর্মসূচি দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছি। সমাজে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে, সব পরিস্থিতি বুঝে আমাদের কর্মসূচি দিতে হয়। কোনও হঠকারিতামূলক কর্মসূচি আমরা দিতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।