গাজীপুর: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হাজীর পুকুর এলাকায় ঢাকাগামী বলাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই যাত্রী আহত হয়।
আহতরা হলেন, বাবুল মিয়া(১৮(। পিতার নাম নুরুল ইসলাম। স্থায়ী বাড়ি ময়মনসিংহ সদরের পূর্বচন্দ্রা গ্রামে। তিনি গাজীপুর মহানগরের ডেগের চালা এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করতেন।
আহত অপর জন হলেন সাহিদা আক্তার(৩৫)। পিতার নাম আঃ সামাদ। বাড়ি গাজীপুর মহানগরের কলমেশ্বর গ্রামে। তার উভয়েই ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
শনিবার(২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগর এলাকার ছয়দানা নামক স্থানে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বলাকা পরিবহনের একটি বাসে অতর্কিতে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দূর্বৃত্তরা। এতে বাসের দুই যাত্রী আহত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নিকটবর্তি তায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়।
তায়রুন্নেছো হাসপাতালের রিসিপসনিষ্ট বুলবুল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বাবুল ও সাহিদাকে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তায়রুন্নেছা হাসপাতাল থেকে সংগ্রীহিত বাবুলের নিকটাত্মীয়ের একটি মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়, ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিটপূরণ পাঠান। বাবুল অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার পর ফোনের জ্বালায় অস্থির আছি।
ভোগড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) নাজমুল ইসলাম জানান, জলসিঁড়ি পরিবহনের একটি বাস বলাকা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লেগে গিয়ে দুই জন সামান্য আহত হয়েছেন। ককটেল বা পেট্রোল বোমা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।