কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর পাথরিয়াপাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে গুলি করা হয়। এ সময় তার সহযোগী ১৭ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি হরিপদও নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আরও চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ বিকেলে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসে ছিলেন মো. সোহেল। এ সময় কালো মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় কাউন্সিলর সোহেলসহ আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ মারা যান।
জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, কাউন্সিলর সোহেল মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন। হাসপাতাল থেকে খবর নেওয়ার জন্য বলেন। তারা অন্য বিষয় সামাল দিচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত জানান, সোহেলের শরীরে অন্তত ১০টি গুলি করা হয়েছে। গত শনিবার তার সঙ্গে একটি সভা করে এসেছেন তিনি। সোহেল এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। সোহেল হত্যার বিচার চান তারা।