নারীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি বিচার চাইতে সন্তান নিয়ে থানায়

Slider নারী ও শিশু


রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের সামনে মধ্যে বয়সী এক নারীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে মারধর শ্লীলতাহানি করেছে। এঘটনার ন্যায় বিচার চাইতে অবুঝ ছেলে মেয়ে নিয়ে থানায় এসেছে।

আজ রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌর শহরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারে ওই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী শাহীন সুলতানা সুইটি প্রয়াত শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ্ শাহিদের স্ত্রী।
অভিযুক্ত মো. শাহ্ আলম কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী শাহীন সুলতানা সুইটি বলেন, স্বামী শহিদুল্লাহ শহিদের মৃত্যুর পর থেকে ভাসুর শাহ আলম স্বামীর সহায় সম্পত্তি হইতে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করিতেছে। ইতিপূর্বে আমাকে বাড়ির সকল গেইটে তালা ঝুলিয়ে তিনদিন অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশের সহয়তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। এছাড়া সব সময় শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে অভিযুক্ত শাহ আলম।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটার টার সময় স্বামীর প্রতিষ্ঠান এয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ার এর সামনে গেলে অভিযুক্ত শাহ আলম অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। তখন এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি করে। তখন গাড়ি ড্রাইভার আমির হোসেন আমাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত আমার গাড়ি চালক আমির হোসেনকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ন্যায় বিচার চাইতে থানায় যেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
ভুক্তভোগী গাড়ি চালক আমির হোসেন বলেন, এর আগেও অভিযুক্ত শাহ আলম তিনদিন মারধর করেছে। কি জন্য মারধর করে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড্রাইভার বলেন, আমাকে গাড়ি না চালানোর জন্য বলে। এতে রাজি হইনি বলে আমাকে মারধর করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী বলেন, আজকের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর কোন দোষ নেই। কোন কিছু বুঝার আগেই মারধর শুরু করেছে। আমরা মালিকের চাকুরী করি বলে প্রতিবাদ করতে পারিনি।
অভিযুক্ত শাহ আলমের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিক বার কল করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি। তবে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল বলেন এবিষয়টি সঠিক নয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, জাতীয় সেবা সুরক্ষা নাম্বার ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত যুবক শাহ আলমকে পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *