সংগীতশিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। এদিন জীবনের ৬৮ বসন্ত পেরিয়ে ৬৯ বছরে পা দিলেন সুরের পাখি রুনা।
বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-অনুরাগী, কাছের মানুষ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন এ গায়িকা।
জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন জানতে চাইলে রুনা লায়লা যুগান্তরকে বলেন, গত দুই বছরের মতো এবারের জন্মদিনও ঘরে আমার পরিবারের সঙ্গেই কাটবে। করোনায় আমরা অনেককে হারিয়েছি। আর কেউ এ মহামারিতে চলে যাক এটি চাই না। সবাইকে আল্লাহ সুস্থ ও ভালো রাখুক— এটিই প্রত্যাশা। করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবু আমাদের অনেক সচেতন থাকতে হবে।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে তার জন্ম। রুনার বয়স যখন আড়াই বছর, তখন তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন।
দীর্ঘ পাঁচ দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক— সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি।
বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৮ ভাষায় রুনা লায়লার গান মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছেন শ্রোতারা। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সংগীতজীবনে এরই মধ্যে বর্ণাঢ্য ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী।
চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা। এ ছাড়া পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।
রুনা লায়লার স্বামী বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক আলমগীর। জন্মদিন ঘিরে এই দম্পতি নিজেদের নতুন করে পাওয়ার অপেক্ষায়।