বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, নাশকতার প্রতিবাদে মহানগর ১৪ দল এই গণমিছিলের আয়োজন করে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দল মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নূরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।
সেলিম বলেন, কিছু জায়গায় দেখেছি সন্ত্রাসীরা যখন পেট্রলবোমা মারে, তখন আপনারা সে ছবি তুলে এনে টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকায় ছাপান। এটা আপনারা আগে থেকে জানেন কিভাবে? তাহলে আপনাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে। ওই সন্ত্রাসীদের আপনারা উসকানি দিচ্ছেন। আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর না দিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত থাকেন।
গণমাধ্যমের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মনে রাখবেন, সাংবাদিক হোক আর পত্রিকার মালিক বা টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক হোক এই সমস্ত জঘন্য অপরাধের বিচার করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এদের অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন অলরেডি ফালুর (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) বিচার শুরু হয়েছে। এখন শুধু কান্দে আর বলে এখন আমার কি হবে?
বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে সুশীল সমাজের উদ্যোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে সংলাপের কথা বলছে। কার সঙ্গে সংলাপ? যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, যারা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, শিশুকে হত্যা করেছে, নারীকে হত্যা করেছে? তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যারা সংলাপের কথা বলছে, তারা মূলত ওই সন্ত্রাসী দলের লোক, তারা মূলত সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনো খুনীর সঙ্গে সংলাপ করতে পারে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া, কোনো বিদেশী বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।