বাসায় ফেরার ৬ দিন পর আবারো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর কিছুক্ষন আগে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের ব্লক-বি এর ৭২০৫ ও ৭২০৪ নং কেবিন বুকিং দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।
এর আগে শনিবার সন্ধা ৫ টা ১১ মিনিটে চেয়ারপারসনের গুলশান বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। বেগম জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাতে হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এরপর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় উঠেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আপনারা জানেন ম্যাডাম দীর্ঘদিন যাবত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এখানে যে চিকিৎসাটা হচ্ছে সেটা পর্যাপ্ত নয়। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়।