ডিজেলের দাম বাড়ার পর বেড়েছে বাস ও লঞ্চের ভাড়া। তবে ট্রেন ডিজেলে চললেও আপাতত ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশে সড়ক, নৌ ও বিমান পরিবহনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা প্রধান হলেও রেলসেবা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। এমন যদি হত তেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছি, তাহলে হয়ত ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টা চিন্তা করতাম।’
ডিজেলের দাম সরকার লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়েছে। ফলে রেল পরিচালনায় সরকারের ভর্তুকি বাড়বে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন জনগণ বা সরকারের ভর্তুকির মাধ্যমেই ট্রেন চলছে। রেলওয়েকে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। ১০ টাকার জায়গায় হয়ত এখন ১২ টাকা ভর্তুকি দেয়া লাগবে। যে কারণে আমাদের দিক থেকে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
ঢিল ছোড়া থেকে যাত্রীদের নিরাপদ রাখতে প্রতিরোধক ব্যবস্থার চাইতে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান রেলমন্ত্রী।
এদিন ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন পুনরায় চালু করেন রেলমন্ত্রী।
গত মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে হেফাজতের সহিংসতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের রুম, অপারেটিং রুম, ভিআইপি রুম, প্রধান বুকিং সহকারীর রুম,টিকেট কাউন্টার,প্যানেল বোর্ড, সিগনালিং যন্ত্রপাতি, পয়েন্টের সিগন্যাল বক্সসহ লেভেল ক্রসিং গেটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর স্টেশনটিকে সারিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে আরো সাড়ে তিন কোটি টাকা।
অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর ট্রেনটির যাত্রা শুরুর আগে গার্ড ব্রেকে ফ্ল্যাগ নাড়িয়ে সিগনাল দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার।