বগুড়ায় প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারার অভিযোগ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


বগুড়া: বগুড়ায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটারদের সঙ্গে বুথে প্রবেশ করে নৌকায় সীল নিশ্চিৎ করছেন। এমন অভিযোগ করছেন অন্যান্য প্রার্থীরা। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার শেরপুর ধড় মোকাম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিক ভূঁইয়া। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ওই কেন্দ্রে নৌকা মার্কার পক্ষের লোকজন বুথে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে সীল মারছে। প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাকে ধাক্কা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই কেন্দ্রের পাশেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তালেব আকন্দের বাড়ি। ফলে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রকাশ্যে কেন্দ্রের মাঠে মহরা দিচ্ছে। নৌকার এজেন্টরা ভোটারদের সঙ্গে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে সীল মেরে দিচ্ছেন।

এছাড়াও অনেক বুথে নৌকা প্রার্থীর একাধিক এজেন্টকে বসে থাকতে দেখা গেছে। তাদের গলায় নৌকার কার্ড থাকলেও বেশির ভাগের গলায় এজেন্টের কার্ড দেখা যায়নি। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর ধড় মোকাম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সালেহ আল রেজা বলেন, এমন কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি। ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিচ্ছেন।

তবে ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ ঘুরে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে। ৩ নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায়, নৌকার এজেন্ট ফজিলা বেগম প্রকাশ্যে নৌকায় সীল দেয়ার জন্য ভোটারদের সঙ্গে গোপন কক্ষে প্রবেশ করছেন। ওই কেন্দ্রের ৫ নং বুথে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদের আনারস প্রতীকের এজেন্টকে সকালেই কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষাপল্লী আদর্শ কেজী স্কুল, দুবলাগাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকা মার্কার নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে।

এদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাতেও সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। সেখানেও কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকায় সীল মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দেউলী ইউপির লক্ষিকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টরা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছে বলে জানিয়েছেন মাহবুবুর রহমান নামের এক ভোটার।

শেরপুরে রির্টাণিং কর্মকতা আছিয়া খাতুন বলেন, আমরা যেখান থেকেই বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাচ্ছি সেখানেই প্রশাসন পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছি। আমরা সতর্ক আছি। ভোট সুষ্ঠু করতে সবাই এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *