ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৫ ইউপিতে নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন দেড় কোটির বেশি ভোটার। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। গোলযোগ এড়াতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। সেই সঙ্গে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
দ্বিতীয় দফায় যে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের জন্য তফসিল হয়েছিল, তার ৮৩৫টিতে বৃহস্পতিবার ভোট চলছে। এছাড়া সাতটি ইউপির ভোট স্থগিত, একটির ভোট বাতিল হয়েছে। পাঁচটি ইউপিতে সব পবে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে ৮১ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২০৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৩ হাজার ৩১০ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন।
২০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটকেন্দ্র ৮৪৯২টি।
এসব ইউনিয়নে ভোটার রয়েছেন ১,৬৫,৯৫,২২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৪,০৫,৮৩১ জন, নারী ৮১,৮৯,৩৭৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৬ জন।
অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরুতে নরসিংদীর আলোকবালী এবং পাড়াতলী ইউনিয়নে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সহিংসতায় পাঁচজনের প্রাণ যায়। ২৫ অক্টোবর বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন।
এছাড়া গত ৬ নভেম্বর কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় ‘দুর্বৃত্তের’ হামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই ইউপি নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
পাবনার সুজানগরের ভায়না ইউনিয়নে গত ৯ নভেম্বর সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন, ভাঙচুর করা হয় ১১টি মোটরসাইকেল।
এছাড়া ২৯ অক্টোবর একই উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫ জন আহত হন।
এর আগে প্রথম ধাপে দেশের ৩৬৪ ইউপির ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পর তৃতীয় ধাপে ১০০৩ ইউপির ভোট হবে ২৮ নভেম্বর, চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপির ভোট হবে ২৩ ডিসেম্বর।
ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি নির্বাচন উপযোগী ইউপির ভোট করার কথা রয়েছে।