ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে বিশ্বকে সতর্ক করতে এবার সাগরের হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে কপ২৬ সম্মেলনের ভাষণ দিলেন ভলকানিক দেশ টুভালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে টুভালুর সংগ্রামকে হাইলাইট করতে দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফের ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমির দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা কী প্রভাব ফেলছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতেই তিনি পানিতে দাঁড়িয়ে ভাষণের ভিডিওটি ধারণ করেছেন। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের একেবারে সামনের সাঁরিতে রয়েছে তার দেশ টুভালু।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভিডিওটি মঙ্গলবার জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে সাইমন কোফের বক্তব্য দেয়ার এ ছবি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, টুভালুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোফে সাগরের হাঁটু পানিতে বানানো অস্থায়ী ডায়াসে স্যুট-টাই পরে দাঁড়িয়েছেন। তার ট্রাউজার গুটানো রয়েছে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত।
কপ২৬ সম্মেলনের দেয়া ভিডিওবার্তায় কোফে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাবে বাস্তবে টুভালু কতটা বিপদের সম্মুখীন ও ঝুঁকিতে রয়েছে তা তুলে ধরতেই আমি এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছি। আমরা আশা করছি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় রোধে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।’
মঙ্গলবার জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে কোফের এ ব্ক্তব্য দেখানে হবে এবং আশা করা হচ্ছে যে, এ অঞ্চলের নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করতে আরো জোরালো পদক্ষেপের জন্য চাপ দেবেন।
এদিকে, বিশ্বের বড় বড় দূষণকারী দেশ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নিয়ে আসার লক্ষ্য পূরণে তাদের নিঃসরণ ব্যাপকভাবে হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা আগামী কয়েক দশকের ভেতর এটি বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে।
কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা এর প্রতিবাদ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। কারণ হিসাবে তারা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় নিম্নভূমির দেশগুলো অস্তিত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।