টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচের সব কয়টি জিতে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান। রোববার গ্রুপ-২ পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে বাবর আজমরা হারিয়েছে ৭২ রানে। দুরন্ত অর্ধশতরান করে জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন অধিনায়ক বাবর আজম (৬৬) ও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার শোয়েব মালিক (অপরাজিত ৫৪)।
টসে জিতে ফিল্ডিং করাই যেন এই বিশ্বকাপে যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও সেই চিত্র বদলে যায় রোববার। দিনের প্রথম ম্যাচে টাস জিতে ব্যাট করে আফগানিস্তান। যদিও মোহাম্মদ নবীরা নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। অবশ্য এবার ফলাফল উল্টো। পাকিস্তান বড় ব্যবধানে স্কটিশদের হারিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
নিজেদের পরীক্ষা করার জন্য টস জিতে ব্যাট করতে নামেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুটা খারাপ করেনি পাকিস্তান। তবে ১৫ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিন নম্বরে নামা ফখর জামানও ফিরে যান ৮ রান করে। বাবরের সাথে এরপর সঙ্গ দেন মোহাম্মদ হাফিজ। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন। ৩১ রানে হাফিজ ফিরে যান। এরপর নামেন শোয়েব মালিক।
তিনি শুরু থেকেই স্কটল্যান্ড বোলারদের ওপর আক্রমণ করতে থাকেন। বাবর ৬৬ রানে ফেরার পরও শোয়েবের আক্রমণ থামেনি। ক্রিস গ্রিভসের শেষ ওভারে ওঠে ২৬ রান। শোয়েব সেই ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন। শেষ বলে ছয় মেরে তিনি নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। কেএল রাহুলের মতোই ১৮ বলে অর্ধশতরান করেন পাকিস্তানের ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ তোলে পাকিস্তান।
১৯০ রান তাড়া করতে নেমে কোনো সময়ই মনে হয়নি স্কটল্যান্ডরা চাপে ফেলতে পারে পাকিস্তানকে। একমাত্র রিচি বেরিংটন (অপরাজিত ৫৪) বাদে কেউই উইকেটে দীর্ঘক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কটিশরা ১১৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। ফলে শূন্য হাতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হলো স্কটল্যান্ডকে।