রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গুলশানের বাসভবনে ফিরেছেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এখন বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ৫টা ৩৫ মিনিটে বাসায় এসে পৌঁছান তিনি। বাসায় ফেরার সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যক্তিগত চিকিৎসা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান থেকে গাড়ি নিয়ে আনতে যান বিএনপি মহাসচিব।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাকে ১২ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বর ভালো হলেও শারীরিক দুর্বলতাসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীর থেকে নেয়া টিস্যুর বায়োপসি করা হয়। এ পরীক্ষার পর তার চিকিৎসকেরা জানান, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার বায়োপসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়ায় ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নিতে খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।