ঢাকা: ডিজেলের দাম বেড়েছে। এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল। এর প্রভাবে কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। দাম বেড়েছে নিত্য পণ্যের। তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহণ বিচ্ছিন্নভাবে চলছে। মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। সরকার বলছে জ্বালানী তেলে দাম প্রতিবেশী দেশের চেয়ে কম। মানে হল বাড়েনি। পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ নেতারা বলছেন, পরিবহণ কারা বন্ধ করছে তা তারা জানেন না। তবে তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন চলতে পারছে না এই ব্যাখাও দিচ্ছেন তারা।
আজ ভোগান্তির তৃতীয় দিন যাচ্ছে। চট্রগ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে বাস চলছে। পুলিশি প্রহরায় পণ্য পরিবহনের খবর আছে। তেলের দাম বাড়ার করণে গণপরিবহন ব্যবসায়ীদের দাবীর মুখে সরকার যাত্রী ভাড়া নির্ধারণের জন্য কাজ করছে। মানুষের অনুমান বলছে, গণপরিবহনের ভাড়া বাড়তে পারে। এমন হলে মানুষের পরিশ্রমের মজুরীও বাড়াতে হবে। এই দাম বৃদ্ধির প্রভাবে মানুষ সামাজিকভাবে আরো ভোগান্তিতে পরবে। পরিস্থিতি সামলাতে হলে দাম বৃদ্ধির সাথে মিল রেখে মানুষের পারিশ্রমিক অবশ্যই বাড়াতে হবে। শ্রমিকের মজুরী থেকে শুরু করে সরকারী বেসরকারী কর্মচারীদের বেতন ভাতাও বাড়াতে হবে। না হলে বড় ধরণের সংকটে পরবে রাষ্ট্রের নাগরিকেরা।
সাধারণ মানুষ বলছেন, তেলে দামের কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়লে পন্যের দামও বাড়বে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। আয় না বেড়ে ব্যয় বাড়লে মানুষের মধ্যে হতাশা আরো বাড়বে। নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেলে অপরাধ বাড়বে এতে সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি সীমানার বাইরে চলে গেলে নিয়ন্ত্রন জটিল হবে।
তাই তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে শ্রমমূল্য পুন:নির্ধারণ করা উচিত। তা ছাড়া হঠাৎ করে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোও বিপদজনক হতে পারে।