ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে গণপরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তিনটি সংগঠন।
ফলে আজ সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। একইভাবে সারা দেশে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাসের ভাড়া বাড়ানোর জন্য বাস মালিক সমিতি থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এ নিয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে বিআরটিএর বৈঠক হবে।
জানা গেছে, লোকসান কমানো এবং ভারতে পাচার রোধ করতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ায় নিশ্চিতভাবেই পরিবহন খরচ বাড়বে। আর পরিবহন খরচ বাড়লে পণ্যের দামে এর প্রভাব পড়বে। করোনার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের আয়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে, অনেকের ব্যবসাও বন্ধ হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই জ্বালানি তেলের এই দামের প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর চাপ তৈরি করবে।
জানা গেছে, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে ঢাকাসহ দেশের কয়েক স্থানে গতকালই যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করেছে বেশ কিছু পরিবহন কম্পানি। ঢাকার অনেক পথে গতকালই বেশি ভাড়া নিয়েছে কিছু পরিবহন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। বাস চালানো হবে কি না সে বিষয়ে প্রতিটি জেলায় আলাদাভাবে মালিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ডিজেলের দাম বাড়ায় বেশির ভাগ মালিকই বাস চালাতে রাজি না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন মো. মজুমদার বলেন, ‘কাল (আজ) সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে সব ধরনের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে। ডিজেলের এমন মূল্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।’
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘বাসের ভাড়া বাড়াতে বাস মালিকরা একটি চিঠি দিয়েছেন। আগামী রবিবার বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।’ বাসের ধর্মঘট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, কোনো ধর্মঘট হচ্ছে না। একদিকে ধর্মঘট চলবে আর অন্যদিকে ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা হবে; দুটি একসঙ্গে হতে পারে না।’