লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন রাজন (রাজু) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর কাছে মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা ফেরত চাইলেন। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী পথসভায় এ টাকা ফেরত চান তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী রাজু তার বক্তব্যে বলেন, যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতারা নৌকার মনোনয়ন দিবেন বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু নৌকা দেন নাই, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। আমি সেই টাকা ফেরত চাই।
তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজুর কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাকে বিদ্রোহী প্রার্থী করে ভোটের মাঠে নামায়, ৫ লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাসও দেন। কিন্তু আমি তার টাকা চাই না। দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে যে টাকা নিয়েছেন আপনি আমার সেই আসল টাকা ফেরত দেন।
এখন টাকা চাওয়ায় তিনি আমাকে চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দিচ্ছেন। মনে রাখবেন মিথ্যা মামলা করলে চরকাদিরার মানুষ আপনাকে ঝাড়ুপেটা করবে, ঝাড়ু মিছিল বের করবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী রাজু আরও বলেন, কমলনগরের আওয়ামী লীগকে আপনি ধ্বংস করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তিনি জেলা কৃষক লীগের সহসভাতি ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ওই পথসভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু ডালিম কুমার দাস বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা প্রশাসনের কাছে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।
এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাও খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমার এ নির্বাচন শুধু কাদিরার জন্য নয়, এ নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মনোনয়ন বাণিজ্য ও ভোট চুরি বন্ধ করতে চাই। আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা বঙ্গবন্ধুর শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু। চরকাদিরায় ভোট ডাকাতির চিন্তা বাদ দিয়ে জনগণের কাতারে আসেন। নচেৎ এর পরিণাম ভাল হবে না।