ডিভোর্স না হওয়া অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির এবং তাম্মির মা সুমি আক্তার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেছেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু জামিন আবেদনের শুনানি করেন। অন্যদিকে মামলার বাদী রাকিবের আইনজীবী ইশরাত জাহান জামিনের বিরোধিতা করেন।
সম্পতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর মিজানুর রহমান এ তিনজনকে অভিযুক্ত করে এই প্রতিবেদন জমা দেন।
এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারী করেন।
মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমা তার আগের স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স দেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র জালজালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছেন। নাসিরকে বিয়ের আগে রাকিবকে ডিভোর্স দেননি তামিমা। তাই নাসির-তামিমার বিয়ে আইনত অবৈধ।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী দাবি করে রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানেন।
মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।