জামিন পেয়েও নথিপত্রের জটিলতায় দুই রাত কারাবাস করতে হয়েছে। তবে সপ্তাহান্তে সেই জট কেটে গেল। আজ শনিবার মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে বেরিয়ে এলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। মাদক মামলায় টানা ২৮ দিন জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন বলিউড বাদশার ছেলে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, দিওয়ালির আগে খুশির হাওয়া মান্নতে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শাহরুখ, গৌরী, সুহানারা। তবে আরিয়ানকে আদালতের ১৪ দফা শর্ত মেনে চলতে হবে।
গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বাইয়ের কর্ডেলিয়া ক্রুজ থেকে আরিয়ানসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেন ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। দীর্ঘ চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর মাদক মামলায় মুম্বাই হাইকোর্ট আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু আদালতের রায়ের কপি জেল কর্তৃপক্ষের হাতে এসে না পৌঁছনোয় ওইদিন আরিয়ানকে আর্থার রোডের জেলেই রাত কাটাতে হয়েছে।
কথা ছিল, শুক্রবার সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর শেষ করে ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন কিং খান। ১ লাখ টাকা বন্ডের বিনিময়ে আরিয়ান জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার তার জামিনের কপিতে সই করেন শাহরুখের দীর্ঘদিনের বন্ধু তথা অভিনেত্রী জুহি চাওলা। শেষ পর্যন্ত আরিয়ান যাতে ন্যায়বিচার পান, এ নিয়েও সরব হন জুহি।
কিন্তু শুক্রবার সময়মতো জামিনের কাগজপত্র এসে না পৌঁছনোয় বাড়ি ফেরা হয়নি আরিয়ানের। এবার অবশ্য সব জট কাটল। কর্ডেলিয়া ক্রুজে মাদক নিয়ে পার্টি করার অভিযোগে প্রায় ২৮ দিন কারাগারের ভিতরে কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়ে মান্নতে ফিরলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।
এদিন আরিয়ানকে কারামুক্ত করতে অবশ্য শনিবার ভোর থেকে আর্থার রোড জেলে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভোরবেলাতেই জেলকর্মীরা বেলবক্স খুলে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি রেখেছিলেন। এরপর বেলা ১১টা নাগাদ জেল কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সব প্রক্রিয়া শেষে তবে ছাড়া পান আরিয়ান।
এদিকে, মান্নতেও সকাল থেকে ছেলেকে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। তিনটি গাড়ি পাঠানো হয় আর্থার রোড জেলে। শাহরুখ নিজেও যান ছেলেকে আনতে। সাদা রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছেলেকে পাশে বসিয়ে জেল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বাদশা। আরিয়ানের সঙ্গেই এদিন বাড়ি ফেরেন মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুজন– মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্ট।