বদিউল আলম খোকনের ‘হারজিৎ’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন আব্দুন নূর সজল ও মাহিয়া মাহি। এটি ২০১৬ সালের অক্টোবরের ঘটনা। সে বছরই নভেম্বরে শুরু হয় এর শুটিং। প্রথম লটের কাজ করার পরই আটকে যায় এর শুটিং। এর মধ্যে ‘হারজিৎ’র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দ্য অভি কথাচিত্র তখন ‘ভালো থেকো’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
সে সময় তারা জানিয়েছিল, ‘ভালো থেকো’র কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ‘হারজিৎ’। আর গত বছর বদিউল আলম খোকনও এর কাজ শুরু করতে চেয়েও পারেননি। এর মধ্যে কথা রটেছে, সিনেমাটি আর শেষ করতে চায় না এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি জানালেন ভিন্ন কথা।
তার ভাষ্য, ‘ছবিটি আর হচ্ছে না, এটা ভুল। করোনার কারণে থমকে আছে আর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে শুটে যাওয়া। আগামী জানুয়ারিতে শুরু হতে পারে এর শুট। তবে সেখানেও থাকছে কিন্তু।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন নয় যে, ছবির কাজ একেবারেই বাতিল। আপাতত স্থগিত আছে। আমি কলাকুশলীসহ প্রায় সবার পেমেন্ট ক্লিয়ার করে রেখেছি। ৭০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। জানুয়ারিতে মার্কেট নতুন করে রিসার্চ করবো। এরপর দেখবো ছবিটির কাজ করতে আর কত টাকা লাগবে। সেটা নির্ধারণ করেই এর কাজ শুরু করতে চাই। পাশাপাশি এটাও মাথায় আছে, এবার আর ভেঙে ভেঙে কাজ করবো না। একেবারের শেষ করবো।’
২০১৬ সালে ‘হারজিৎ’র মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর বড় পর্দায় ফেরার কথা ছিল সজলের। অন্যদিকে, মাহিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার বাইরে বড় ব্যানারে কাজ শুরু করেছিলেন এটি বরাতে। তাই সেসময় সিনেমাটি বেশ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছিল।