গাজীপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অশ্লীলতা জাতীয় রুপ লাভ করেনি!

Slider টপ নিউজ


গাজীপুর: পান থেকে চুন খসলেই স্ট্যাটাস, ঘটনা ঘটুক বা নাই ঘটুক লাইভ। খবর হোক বা না হোক খবর আসছে, স্ট্যাটাস। পৃথীবির যেখানেই ঘটনা ঘটুক রি-এ্যাকশন স্ট্যাটাস। সংবাদ কর্মির আদলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রচার বাস্তবতাকে বিবর্ণ করে ফেলছে। আইন কানুন সাপেক্ষে সংবাদ মাধ্যমের খবর আর বাঁধাহীনভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের খবর, একটি সংবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এতে সংবাদ মাধ্যমের ভবমূর্তি চরমভাবে খুন্ন হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় কালাকানুন আপেডেটেড থাকলেও প্রয়োগের ক্ষেত্রে উদাসীনতা বা শৈথিল্যতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট সহ সংবিধানের বেশ কিছু মৌলিক বিষয় অরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে সরকার খবরের উপর বার বার আক্রমন করছে। মুলত সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় মৌলিক সংবাদ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এই বিষয়টি রাষ্ট্রীয় উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। তবে কখনো কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ভালো ভালো খবরেরও জন্ম দিচ্ছে এটাও সঠিক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় কোন ঘটনা ঘটলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস ও লাইভ প্রচার শুরু হয়। ফেইসবুক ব্যাবহারকারীরা নিজেদের মত করে খবর প্রচার করায় মৌলিক সংবাদের সত্যতা প্রশ্নের মুখে পরে যায়। লক্ষ্য করা গেছে যে, যে কোন গুজব সংবাদ মাধ্যম থেকে ছড়ায়না । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাস,অডিও, ভিডিও মূহর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দেয়। গুজবকালীন সময়ে সংবাদ কর্মিরাও প্রশ্নের মুখে পরে কখনো কখনো হতাহতও হয়। কোথাও কোথাও সাংবাদিক গ্রেফতার হওয়ার ঘটনাও আছে।

অনুসন্ধান বলছে, সংবাদ মাধ্যমের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, আইন ও সংবিধান যথাযথভাবে মেনে চললে অনাকাঙ্খিত ঘটনার সংখ্যাও কমে যেত। গাজীপুর জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে অসংখ্য ফেইসবুক আইডি থেকে অশ্লীল, আপত্তিকর, বেআইনি ও গুরুতর অপরাধজনিত পোস্ট প্রচার হয়েছে এবং হচ্ছে। ব্যানারে আগুন দিতে গিয়ে কিংবা অশ্লীল কিছু করতে গিয়ে পুরো ব্যানারই আলমত হয়ে গেছে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীরা বে-আইনি কর্মকান্ড করে ফেলছেন। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

এদিকে বেশ কিছু ঘটনায় একাধিক সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিযুক্তদের দ্বারা রক্তাক্ত হয়েছেন এবং পুলিশ গিয়ে আহত সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা রেকর্ড করার মাধ্যমে চালান দিচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মামলা, বনের মামলা ও চাাঁদাবাজী মামলা সহ নানা ধরণের মামলা হচ্ছে। ফলে সঠিক সংবাদ তৈরি ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বিমুখী আচরণ সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের বে-আইনী কর্মকান্ডে বাঁধা না দেওয়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে গাজীপুরের ঘটনায় খোঁদ সরকার প্রধানকেও মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু গণমাধ্যম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিতে গিয়ে গুজবকে উস্কানীও দিচ্ছেন, এমন ঘটনার কথাও বলাবলি হচ্ছে।

সাধারণ মানুষ বলছেন, সংবাদ মাধ্যমের কড়া জবাবদিহিতার আদলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংরক্ষণ না করলে পারিবারিক,সামাজিক ও রাষ্ট্যীয় গুজব বন্ধ করা খুব কঠিন হবে। এতে রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আরো জটিল হতে পারে। একই সাথে মৌলিক সংবাদ মাধ্যম বার বার রোষানলে পড়বে যা অব্যাহত থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *