রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একটি ছোট্ট অপারেশন চলছে। আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল রোববার যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছেন তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। এখনো তিনি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গেই আছেন।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার পর ১০ তলার কেবিন ব্লক থেকে খালেদা জিয়াকে তিন তলার অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আসা হয়। এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সপ্তাহখানেক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে। তবে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে এতদিন কেউ কথা বলেননি। এবার তার চিকিৎসাকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে একাধিক নেতা বলেছেন। এমনকি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার বোন সেলিমা রহমানও কিছু বলতে রাজি হননি। গতকাল সন্ধ্যায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
গত এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন খালেদা জিয়া। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।
এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বাসায় কিছুদিন ধরে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। পরে আরো তিনবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।