প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যদি পদত্যাগ না করেন তবে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। তিনি বলেন যারা পেট্রলবোমা মারে তাদের গ্রেপ্তার করতে আপনাকে কেউ বাধা দেয়নি। ঘুম থেকে উঠিয়ে অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের কি দোষ। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী উদ্দেশ্য আরও বলেন বাসে মানুষ পুড়ছে এটা আপনার ব্যর্থতা। অবরোধ চলছে এটাও আপনার ব্যর্থতা। মতিঝিলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে অবস্থানের ২২তম দিন আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের চলমান সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২৮শে জানুয়ারী থেকে তিনি এ অবস্থান কর্মনসূচি পালন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করেন বলেন তাদের কথা নীতিহীন রাজনৈতিক নেতাদেও মতো। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে ২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে কুত্তা বিড়াল ছিল, ভোটার ছিল না। আলোচনায় বসার দাবি জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি রাজনীতি করেন, রাজনৈতিক দলকে সম্মান করুন। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে তিনি বলেন, দয়া করে আমাকে সময় দেন। তবে সময় থাকতে দেবেন। গণেশ উল্টে গেলে লাভ হবে না। আমি বলিনি, আপনি খালেদা জিয়া কিংবা আমার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। যার সঙ্গে আলোচনায় বসলে দেশে শান্তি আসবে তার সঙ্গেই বসেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনি বোরখা পরে দু’দিন বের হন, দেখেন দেশের মানুষ কি বলে। আপনার বিকলাঙ্গ জাসদের মন্ত্রী ইনু ছাড়া আর সবাই সংলাপ চায়। আরও দু-একজন যারা আছেন তারাও সংলাপ চায়। আলোচনা না করে আপনি কীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চান। আপিন তো মন্ত্রিপরিষদেও কথা বলেন, তাহলে বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলবেন না কেন? গণগ্রেপ্তারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কারাগারে দ্বিগুনের বেশী মানুষ রয়েছে। প্রয়োজনে গণভবনেও কিছু রাখেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী সোহেল, আতিকুর রহমান সাদেক, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ প্রমুখ।
এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত