সৈয়দপুর (নীলফামারী):কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনা, মন্ত্রীর বক্তৃতাকালে মঞ্চে বিশৃঙ্খলা, খোশগল্প চলতে থাকায় বিরক্ত হয়ে বক্তৃতা অসমাপ্ত রেখেই মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করেন তিনি। মন্ত্রীর সম্মানার্থে দেয়া হয় গার্ড অব অনার। তিনি বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে উত্তরাঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন বহুমুখী ওই কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করেন। কিন্তু গোল বাঁধে মন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময়টিতে।
নতুন নির্মিত কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয় এর মিলনায়তনে। এতে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান।
পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দরিদ্রতার নাগপাশ থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হচ্ছি। একশ্রেণীর মানুষ এ উন্নয়নকে ভালো চোখে দেখছে না। দেশে কৃষি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
যে সময়টিতে তিনি সৈয়দপুরের উন্নয়ন সম্পর্কে বক্তব্য রাখছিলেন, তখন মঞ্চে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। খোশগল্প, হৈচৈ শোনা যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তিনি মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসতে চাইলে মেয়র তাকে থামতে অনুরোধ করেন। তিনি মেয়রকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মঞ্চ ছেড়ে আসেন। জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় এমপি এগিয়ে এলে তাদেরকেও অতিক্রম করে মঞ্চ ত্যাগ করে বেরিয়ে যান মন্ত্রী।
এমন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, বিষয়টি বুঝে উঠতে পারলাম না। হয়তো মন্ত্রী মঞ্চে বিশৃঙ্খলা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন। এ নিয়ে মন্ত্রীর সাথে তিনি কথা বলবেন বলে জানান।
এদিকে মেয়র রাফিকা আকতার বেবী বলেন, ‘অতি ব্যস্ত থাকার কারণে এমনটা হতে পারে। মন্ত্রী মহোদয়ের এটা কোনো বিষয় না। এগুলো নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’