আসন্ন দশকগুলোতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ। বিশ্বব্যাপী লাখো শ্রমিকের জন্য তা একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য মহামারি হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছেন। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
গবেষকেরা বলছেন, অধিক তাপমাত্রা ও ক্রনিক কিডনি ডিজিজ অব আনসার্টেইন কজের (সিকেডিইউ) মতো সম্পর্কের বিষয়টি জানতে আরও গবেষণা জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন। কিডনি রোগ (সিকেডি) সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রেও কিডনি রোগ দেখা যায়। তবে এল সালভাদর বা নিকারাগুয়ার অধিক উষ্ণ অঞ্চলে ইতিমধ্যে সিকেডিইউ মহামারি দেখা দিয়েছে। সেখানে অনেক কৃষকের কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেশি।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ও মধ্য আমেরিকার কিছু কিছু অঞ্চলে উচ্চ তাপমাত্রায় ভারী কাজ করেন, এমন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সিকেডিইউ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার রেকর্ড আকারে বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ভারতেও সিকেডিইউ আক্রান্ত রোগী বাড়ছে।
কিডনি দেহের তরল ভারসাম্যের জন্য দায়ী, যা বিশেষ করে চরম তাপমাত্রার প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে। কিডনি সমস্যার বিষয়টি অধিক তাপসংশ্লিষ্ট আঘাত হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে অনেকেই এখন একমত পোষণ করছেন।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জলবায়ু ও স্বাস্থ্যশিক্ষার বৈশ্বিক কনসোর্টিয়ামের পরিচালক সিসিলিয়া সোরেনসেন বলেন, কিডনিতে এ ধরনের আঘাতের বিষয়টি সাধারণত কোনো উপসর্গ দেখায় না। অনেক শ্রমিক শেষ ধাপে যাওয়ার আগপর্যন্ত অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি বুঝতেও পারেন না।
সোরেনসেন আরও বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে নজরদারি করি না বলে এর সমস্যাটির ব্যাপ্তি কী, সে সম্পর্কে আমাদের ঠিক ধারণা নেই। এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে, যা স্পষ্টভাবে হটস্পট কিন্তু এর বিস্তারের বিষয়টি কতটা গুরুতর সমস্যা, তা নিয়ে আমরা ভাবছি না।’