নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পূজামণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশসহ অন্তত ১৮ জন। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হামলা-ভাংচুরের সময় এক ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ ইমরান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর চালানো হয়। এ সময় চৌমুহনী কলেজ রোডের বিজয়া পূজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও হিন্দুদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া যতন সাহা (৪২) নামে এক ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।’
জানা গেছে, নিহত যতন সাহা কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মনোরঞ্জন সাহার ছেলে। তিনি পূজা উপলক্ষে চৌমুহনীতে আত্মীয়বাড়ি এসেছিলেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস জানান, পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার, পরিদর্শক রুহুল আমিনসহ আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালের আরএমএ সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে তাদের হাসপতালে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর যতন সাহাকে তাদের হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে তিনি জানান। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম বলেন, ‘শনিবার সকাল-সন্ধ্যা ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে চৌমুহনী বাজারে।’