মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। সুযোগ পেলেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কোনো ইস্যু না পেয়ে তারা এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাচ্ছে।
আজ পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না। পাকিস্তানের চেয়ে সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া তারা মেনে নিতে পারে না । তাই এত ষড়যন্ত্র। হাজার বছর ধরে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বীরের কন্ঠে বীর বীরগাথা প্রকল্প নিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে, কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
তিনি জানান , বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। সেজন্য উপজেলা -জেলা হাসপাতাল এবং ঢাকার ২২ টি বিশেষায়িত হাসপাতালে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা মাসিক ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে ।
মন্ত্রী এ সময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী , সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুনসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।