চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এই মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ দুপর দেড়টায় আদালতে হাজির হন চিত্র নায়িকা পরীমনি। শুনানিতে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত এই মামলায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তিনি জামিনের কোনো অপব্যবহার করেননি। তাই আবারো তার জামিন মঞ্জুর করা হোক।
এসময় পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতে বলেন, আগে থেকে এই মামলায় শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। সাধারণত সকাল ১০টায় প্রত্যেক আসামির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পরীমনির বেলা একটা পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি।
আইন সবার জন্য সমান মন্তব্য করে আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে। আদালতে ঠিক সময়ে হাজির হতে হবে। আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। পরীমনির কাছ থেকে বিদেশি মদসহ ভয়ংকর রকমের মাদক এলএসডি-আইস পাওয়া গেছে। পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করছেন তিনি। পিপির বক্তব্যের পর পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা আদালতে বলেন, ‘স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না।’ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।
মাদকের মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। দুজনই পরীমনির পরিচিত ব্যক্তি। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।