গুলশান কার্যালয়ে খালেদার ৪৫ দিন

Slider বাংলার মুখোমুখি

f54c0772fcb24fdd05ea784bdb7aead5-Khaledattt-415x260

 নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৪৫ দিন কেটে গেছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়ার। প্রথম ১৬ দিন ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া ব্যারিকেডে অবরুদ্ধ। তারপর কার্যালয়ের অবরোধ তুলে নেয়া হলেও কৌশলগত কারণে কার্যালয় ছেড়ে যাননি তিনি। চলাফেরার সীমাবদ্ধতা, ঘুম ও বিশ্রামের অসুবিধা, যোগাযোগ বন্ধ এবং গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই কার্যালয়ে অবস্থান করেন তিনি। দৃশ্যত অবরোধ তুলে নেয়া হলেও তার কার্যালয় ঘিরে অব্যাহত ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। দফায় দফায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে কার্যালয়ে লোকজনের যাতায়াতে। সর্বশেষ ৬ দিন তার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশেও বাধা দেয়া হচ্ছে। অবরোধের সময়ে বাসে পেট্রল বোমা হামলা ও হত্যার ঘটনায় তাকে হুকুমের আসামি করে দায়ের করা হয়েছে অন্তত অর্ধ ডজন মামলা। কার্যালয় ঘিরে পুলিশের উপস্থিতিতেই দিনের পর দিন ঘেরাও-বিক্ষোভ-মিছিল করছে সরকারদলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, পেশাজীবী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তার সঙ্গে অবস্থান করছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের আগে  প্রতিদিন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেন খালেদা জিয়া। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল ঘোষিত ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৩রা জানুয়ারি বিকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয় খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও সন্ধ্যার পর নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানেও বাড়ানো হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। রাত ১০টার দিকে খালেদা জিয়া খবর পান নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থানরত দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে তিনি কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাইরে তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। সেই সঙ্গে তার কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় দুইপাশে দেয়া হয় ব্যারিকেড। একপর্যায়ে দুইপাশে আড়াআড়িভাবে ১১টি বালু, ইট ও মাটিভর্তি ট্রাক রেখে অবরুদ্ধ রাখা হয় কার্যালয়। নিজের কার্যালয়ে প্রথম রাত সোফায় বসেই কাটান খালেদা জিয়া। সেখানে ঘুমানোর ব্যবস্থা না থাকায় পরদিন বাসা থেকে তাজিম, কম্বল, তোষক আনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কে যান ও লোক চলাচল বন্ধ করে দেয়। এমনকি সাংবাদিকদেরও পরিচয় পত্র দেখিয়ে ওই রোডে যেতে হয়। ২০ দলের ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে ৫ই জানুয়ারি বিকালে কার্যালয়ে থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু ব্যারিকেডের পর তালা লাগিয়ে দেয়া হয় তার কার্যালয়ের মূল ফটকে। তিনি গাড়িতে ওঠে ফটকের কাছে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। একপর্যায়ে সেখানে দাঁড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচী ঘোষনা করেন তিনি। এ সময় তার ওপর পেপার স্প্রে ছুড়ে পুলিশ। এতে বমি, চোখ, নাক দিয়ে পানি ঝরা ও শারীরিক ব্যথায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কার্যালয়েই চিকিৎসকরা একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তার চিকিৎসা করেন।  ১১ই জানুয়ারি কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ১১ জন সাবেক আমলা। পরদিন কয়েকজন সাবেক মহিলা এমপিও সাক্ষাৎ করেন। ওইদিন তার কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবস্থানকারী দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান দলের স্থায়ী কমিটির পক্ষে একটি বিবৃতি দেন। এতে বলা হয়, অবরোধ অব্যাহত থাকবে। ১৭ই জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার। পরদিন হঠাৎ করেন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কিন্তু ১৯শে জানুয়ারি ভোর রাতে বিনা ঘোষণায় খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে অবরোধ তুলে নেয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। খুলে দেয়া হয় কার্যালয়ের মূল ফটকের তালা। কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদেরও। তবে কার্যালয়ের তিনদিকে কিছু দূরে পুলিশ মোতায়েন ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়। কার্যালয় থেকে পুলিশি অবরোধ তুলে নেয়ার পর সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বৈঠকের পর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া। পুলিশি ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার সরকারকে সাধুবাদ জানালেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ২২শে জানুয়ারি খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে ‘খেটে খাওয়া নগরবাসী’ পরিচয়ে সরকারি দলের লোকজন। একই সময়ে সরকার দলীয় কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলশান-২ গোলচত্বরে বিক্ষোভ করে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ২৪শে জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। ওয়ান ইলেভেনের সময় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চিকিৎসার উদ্দেশে থাইল্যান্ড যান কোকো। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে মালয়েশিয়া অবস্থান করছিলেন তিনি। আকস্মিক ছোট ছেলের মৃত্যু সংবাদে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তাকে সমবেদনা জানাতে অনেকে ছুটে গেলেও তিনি ছিলেন আত্মীয়-স্বজনদের পরিবেষ্ঠিত। খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। ঠিক ওই সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে তার কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, অপ্রস্তুতিসহ নানা কারণে তাকে অভ্যর্থনা জানাননি বিএনপি নেতারা। ৫ মিনিট অপেক্ষার পর ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য রাতে ইনজেকশনের প্রভাব কেটে গেলে ঘুম ভাঙার পর খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে পরে যে কোন সময় তিনি গেলে স্বাগত জানানোর কথাও বলেন। খালেদা জিয়া যখন ছেলে হারিয়ে শোকাহত তখনই তাকে হুকুমের আসামি করে দায়ের করা হয় একের পর এক মামলা। একইদিন রাতেই অবরোধ চলাকালে বাসে পেট্রর বোমা হামলার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা এক মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। ২৬শে জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করার গাড়ি পোড়ানো মামলায় হুকুমের আসামি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ২৭শে জানুয়ারি দেশে আনা হয় আরাফাত রহমান কোকোর লাশ। বিকালে তার কফিন গুলশান কার্যালয়ে নেয়া হলে ‘আমার কোকো’ বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন খালেদা জিয়া। ছেলের মরদেহ শেষবারের মতো দেখেন তিনি। পরদিন তার পক্ষে এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানাতে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। ২৯শে জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির ৭ জন সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরদিন ৩০শে জানুয়ারি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে যান গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৩ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ড. কামাল হোসেন। ৩০শে জানুয়ারি শেষ রাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, কেবল টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় সরকার। কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর সেখানে অবস্থানকারী দলের নেতা ও কর্মকর্তাদের তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যত কিছুই হোক কার্যালয় ছাড়বেন না। নানা মহলের সমালোচনার মুখে ১৯ ঘণ্টা পর তার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। তবে অন্যান্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। ৩১শে জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ অভিযোগ করেন খালেদাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। ২রা ফেব্রুয়ারি অবরোধ ও হরতালে ৪২ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে খালেদা জিয়া ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমেদকে আসামি করে নালিশি মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। পরদিন ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় দফায় কড়াকাড়ি আরোপ করা হয়। ওইদিন ২০দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। ওইদিন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ওই সংগঠনের মফিজুল নামে এক নেতা পিস্তল হাতে কার্যালয়ের দিকে ছুটে যান। এ সময় তিনি খালেদা জিয়াকে গুলি করার হুমকি দেন। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এবং ৫ই ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ে খালেদা জিয়া হকুমের আসামি করে দুইটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ৯ই ফেব্রুয়ারি নিজেদের সংলাপের উদ্যোগ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়াকে একটি চিঠি দেয় নাগরিক সমাজ। সাবেক সিইসি ড. এটিএম শামসুল হুদার স্বাক্ষরে ওই চিঠি দেয়া হয়। ১০ই ফেব্রুয়ারি বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গুলশান কার্যালয়ে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর প্রথম কোন কূটনীতিক হিসেবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৃটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর কিছুক্ষণের জন্য খোলা হয় কার্যালয়ের মূল ফটক। ওইদিন এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া বলেন, হাসিনার পদত্যাগ নতুন নির্বাচন ছাড়া সঙ্কটের সমাধান হবে না। এদিকে ১১ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের জন্য নেয়া খাবার ভ্যানটি ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। সেই সঙ্গে কড়াকড়ি আরোপ করা হয় কার্যালয় ঘিরে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই কার্যালয়ের গেটে একটি টেবিল ও খাতা-কলম নিয়ে বসে স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা। কার্যালয়ের যাওয়ার সময় তারা নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার লিখে তারপর ঢোকার অনুমতি দেয়া হতো। কার্যালয়ের আশপাশের দূতাবাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই এলাকায় সচল করা হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক। তবে বুধবারের পর থেকে নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হয়। ওদিকে বুধবারের পর থেকে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কোন খাবার নিতে দিচ্ছে না পুলিশ। প্রতিদিনই দফায় দফায় খাবার ভ্যান, অটোরিকশা এমনকি হাতে করে নেয়া খাবারও ফিরিয়ে দিচ্ছে। কেবল খালেদা জিয়ার জন্য তার বেয়াই বাড়ি ও ছোট দুইভাইয়ের পরিবার থেকে পাঠানো খাবার ছাড় পাচ্ছে। তবে তাও টিফিন ক্যারিয়ারের প্রতিটি বাটি তল্লাশি করে। এতে চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে তার কার্যালয়ে অবস্থানকারী ৩০-৩৬ জন লোক। এমন পরিস্থিতিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জন্য কার্যালয়ে অবস্থানকারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ৫দিন ধরে অভুক্ত রয়েছেন খালেদা জিয়া। কার্যালয়ের স্টাফদের অভুক্ত করে খাবার খাচ্ছেন না তিনি। এদিকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি খুলনায় বাস পোড়ানো মামলায় হুকুমের আসামি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি কার্যালয়ের সামনে থেকে আটকের এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে। একই দিন কার্যালয়ের বাইরে কফিন মিছিল করেছে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সরকার দলীয় এমপি এমএ লতিফ। এছাড়া মোটরসাইকেল মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ মিছিল করে। খালেদা জিযার সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেয় ৫৭টি মানবাধিকার সংগঠনের একটি মোর্চা। ১৫ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় কোন কূটনীতিক হিসেবে সাক্ষাৎ করেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত। এদিকে গতকাল নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *