টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি যেমন হওয়া উচিত, ঠিক তেমনই হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের। অবশ্য তার আগে দারুণ দুটি অর্ধশতক হাঁকান দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তাতেই পাহাড় সমান সংগ্রহ বাংলাদেশের। টাইগারদের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় অনেকদূরেই থেমেছে ওমান এ দল। টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬১ রানের বড় জয় পেয়েছে সফরকারীরা।
আজ শুক্রবার রাতে ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে স্বাগতিকরা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভাল হয়নি ওমানের। ইনিংসের তৃতীয় বলে ওপেনার অক্ষয় প্যাটেলকে সাজঘরে পাঠান নাসুম আহমেদ। পরের ওভারে প্রুথবি কুমারকে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ২২ রান তোলে ওমান। দলীয় ৩২ রানের মাথায় খালিদ কাইলকে সাজঘরে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
দশম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক আমির কলিমকে মেহেদী হাসানের ক্যাচবন্দী করান আফিফ হোসেন। ১৪ বলে মাত্র ৭ করে ফেরেন স্বাগতিক এই ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে মাথায় ৪৩ করা শোয়েব খানকে রানআউটে ফেরান মুশফিকুর রহিম। ওই ওভারের পঞ্চম বলে খুররাম খানকে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন।
দলীয় ১০৩ রানের মাথায় শরিফুলের শিকার হন মেহরান খান। ১০ বলে দুই ছয়ে ১৯ রান করে মেহেদীর তালুবন্দী হন তিনি। নিজের পরের ওভারে রউফ আতাউল্লাহকে তৃতীয় শিকার বানান শরিফুল। শেষ ওভারে এক রান দিয়ে নতুন ব্যাটসম্যান রফিকুউল্লাহকে ফেরান সাইফউদ্দিন। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৭ করে ওমান এ দল।
এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে আসেন দুই টাইগার ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। দুইজনের ১০২ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন সময় শ্রীভাস্তভা। ৫৩ রান করা লিটনকে কট এন্ড বোল্ড করে ফেরান তিনি।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। মাত্র ৬ রান করা এই ব্যাটসম্যানকেও ফেরান শ্রীভাস্তভা। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সাজঘরে ফেরান আমির কালিম। ৫৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে সতীর্থদের সুযোগ করে দিতে মাঠ ছাড়েন ওপেনার নাঈম।
শেষ পাঁচ ওভারে ৮১ রানের ঝড়ো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ছক্কার ঝড় তোলেন সোহান। মাত্র ১৫ বলে ৭ ছয়ে সোহান খেলেন অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে শামীম খেলেন ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংস।