গাজীপুর:সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সহ বেশ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি বর্তমান কমিটিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। দল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কঠিন সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে বিরোধ এখন তুঙ্গে। এই বিরোধের ফলে দলটির কিছু মৌলিক বিষয়ের সম্মানহানী হয়েছে। কথিত অডিও সঠিক হলে এক পক্ষ আর বেঠিক হলে অপর পক্ষ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সূত্র বলছে, অডিও সঠিক হলে, মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বেকায়দায় পরবেন। আর বেঠিক হলে এ্যাড আজমত উল্লাহ খান ও রাজপথে থাকা বেশ কিছু নেতা বেকায়দায় পরে যাবেন। ফলে অডিও এবং অডিওকে ঘিরে সৃষ্ট আন্দোলন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগ এর জন্য একটি বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর একাধিক কেন্দ্রীয় সূত্র তদন্তাধীন বিষয়ে কথা না বললেও অসমর্থিত সূত্র বলছে, অডিওটি বেঠিক হলে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ১৯ জন চিহ্নিত নেতা সাংগঠনিক ব্যাবস্থার মুখমুখি হবেন।
এদিকে দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে অডিওটির ভবিষৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদি তাই হয়, তবে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগে ব্যাপক পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। অডিও বেঠিক হলে আন্দোলনকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলমকেও সতর্ক থাকতে না পারায় ভৎসনা করা হতে পারে।
এমন হলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি ভেঙ্গে এ মাসেই নতুন আহবায়ক কমিটি আসতে পারে বলে দলীয় সূত্র গুলো আশঙ্কা করছে। এছাড়া কথিত অডিও আইনের আওতায় না আনা, অডিওকে ঘিরে রাজপথে প্রশ্নবিদ্ধ আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে কথিত বার্তা, অডিওকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলার অবনতির সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সহ বেশ কিছু বিষয় সতর্কতার সাথে অনুসন্ধান করছে দল।
এমতাবস্থায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার ফলে সৃষ্ট বিরোধ গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগকে নতুন কোন জায়গায় দাঁড় করাবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।