ঢাকা: মানুষ কেন বিএনপিকে ভোট দিবে বলে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল, আমার শাসনামল এবং বিএনপিসহ অন্যদের শাসনামলের তুলনা করেন। এরপরও কারা, কেন, কোন সুখে বিএনপিকে ভোট দেবে? কী কারণে অন্যদের ভোট দেবে?’
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনের তুলনামূলক বর্ণনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। মোবাইল দিয়েছি। ইন্টারনেট দিয়েছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম। করোনার কারণে কিছুটা থমকে গেছি। তবে থেমে যায়নি। জরুরি সবকিছু যতটা সম্ভব চালু রাখার ব্যবস্থা করেছি। এরপরও কেন অন্যদের ভোট দেবে?’
বিএনপি জানে যে তাদের আর কোনো ‘সম্ভাবনা নেই’, সে কারণেই তারা নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত করার চেষ্টা’ করছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা দল কীভাবে জিতবে, তার নেতৃত্বটা কোথায়? একজন এতিমের টাকা চুরি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আরেকজন গ্রেনেড হামলার মামলায় কারাদণ্ড নিয়ে দেশান্তরি, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জনগণ কোন ভরসায় ওই দলকে ভোট দেবে?’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জনগণ কখন ভোট দেয়? মানুষ দেখে ওই দলকে ভোট দিলে ক্ষমতায় কে যাবে। তারা (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান) তো ইলেকশনও করতে পারবে না।’
বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিশ্বাসই হারিয়ে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা জানে যে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই। সম্ভাবনা যখন নাই, যেভাবে হোক নির্বাচনটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা, অর্থাৎ গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে, সেটা নষ্ট করা।’
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দলের নেতা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তার সফর নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দেশের জনগণকে উৎসর্গ করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।