নাটোর: আগামী ইউপি নির্বাচনে রাস্তায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি’র গাড়ি দেখলেই পুড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এ বিষয়ে শনিবার রাতে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার উদ্দিন মোল্লা বড়াইগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এই নির্দেশের কথা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান পাটোয়ারী বলেন, কুদ্দুস সাহেব নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নৌকা প্রতীককে পরাজিত করতে প্রকাশ্যে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন। তাই নৌকাকে বিজয়ী করতে কুদ্দুসের ষড়যন্ত্র রুখতে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, গত ৩০শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের দিয়ার গাড়ফা গ্রামে জিন্নাহ ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে দলীয় মিটিংয়ে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এই রাস্তায় অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপিকে দেখলে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেবেন। তার সব দায়-দায়িত্ব আমার।’ জনগণের সম্মুখে প্রকাশ্যে এই বক্তব্যে তিনি এমপির প্রতি জনগণকে উসকে দিয়েছেন। বক্তব্যের সময় একটি আইপি টিভি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তার বক্তব্য সরাসরি প্রচার করে।
শনিবার বিকালে ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী পুনরায় তার নিজের ফেসবুক পেজে একই বক্তব্য শেয়ার করেন। গতকাল রোববার বিকালে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মিয়াজি সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পক্ষে এমন কথা বলা সম্ভব নয়। সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী আওয়ামী লীগের একজন অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতা। দল এমন মানুষকে কীভাবে উপজেলায় মনোনয়ন দিয়েছে বুঝতে পারি না। ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসকে এমন কথা বিএনপি জামায়াতও কখনো বলার সাহস রাখে না। এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সংসদ সসদ্য হয়েও তিনি সব সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেন। তাই তিনি এমনটি বলেছেন। গতবারও তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জিতিয়েছেন। তাই নৌকার জন্য তিনি এমন কথা বলেছেন, এর জন্য জেল-জুলুমেও তার আপত্তি নেই।