ঢাকা: গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে ঘিরে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও নিয়ে সন্দেহ করছে আওয়ামীলীগ। তাই অডিওটির প্রেক্ষিতে ১৫দিনের মধ্যে ব্যাখা দিতে লিখিত নোটিশ দিয়েছে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার দুপুরে এই নোটিশের কথা আসে গণমাধ্যমে।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় একাধিক নেতা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে এমন বক্তব্য গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দিতে পারেন এটা দল বিশ্বাস করে না। এই জন্যই ব্যখ্যা চাওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক ব্যাখা দিতে না পারলে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর যদি বক্তব্য প্রমানীত না হয় তবে এই মিথ্যা অডিওকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে যা যা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
আওয়ামীলীগ পন্থী আইনজীবীরা বলছেন, অডিওটি যাচাই বাছাই করা ছাড়া সত্য ভেবে রাজপথে যে আন্দোলন চলছে এটা না করলে ভালো হতো। কারণ প্রমান হলে আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কোন বেয়াদবী সহ্যৃ করবে না। আর এ ধরণের কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলাও দল মেনে নেবে না।
আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, অডিও সঠিক প্রমান হলে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সতর্ক করা বা দল থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। আর যদি অডিও প্রমান না হয় তবে যে সকল নেতা এই অডিওকে ঘিরে আইন লংঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। দুটোর মধ্যে কোনটি হবে তা সময়ই বলে দিবে।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, ‘তাকে নিয়ে একটি পক্ষ নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে তার কিছু কথা এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছে।’