গাজীপুর: গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যাকেট, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফসহ সাতজনের একদল ভুয়া ডিবি পুলিশকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিশ। তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করতো বলে পুলিশের দাবি।
গাজীপুর ডিবি পুলিশ ওই ভুয়া ডিবি দলের ব্যবহৃত একটি হায়েস গাড়ি ও টঙ্গীতে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও বিক্রয়লব্দ টাকা উদ্ধার করেছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (ডিবি) নূরে আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আসাদুজ্জামান পলাশ (৪০), অলিউর রহমান (৪০), আব্দুল হাকিম (৪০), রিপন আহাম্মেদ রবিন (৪০), কামরুল ইসলাম (৩৬), মোহন চৌকিদার (৫২) ও বাচ্চু মিয়া (৪৫)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, টঙ্গী পূর্ব থানার পূর্ব গাজীপুরা এলাকায় ‘রিয়ামনি জুয়েলার্স’-এর কর্মচারী আমির হোসেন এবং ওই দোকান মালিকের মামাতো ভাই আবুল কালাম আজাদ রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান থেকে ১৪ ভরি সাত আনা স্বর্ণালঙ্কার, ১০৭ ভরি রূপার অলঙ্কার নিয়ে দোকান বন্ধ করে মালিক ইয়াসিনের বাসায় ফিরছিলেন। তারা রাত পৌনে ১১টার দিকে স্থানীয় কাজীবাড়ী মোড়ে উত্তোলন স্কুলের সামনে পৌঁছালে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পড়া ছয়-সাতজন লোক একটি সাদা রঙের হাইয়েস গাড়ি নিয়ে তাদের গতিরোধ করে দাঁড়ায়। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের দেহ তল্লাশির একপর্যায়ে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গাড়িতে তাদেরকে প্রচণ্ড মারধর করে ও সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এরপর তাদেরকে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন মৌচাক এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
এ ঘটনায় দোকান মালিক মো: ইয়াসিন গত মঙ্গলবার টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। ডাকাতির এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা মহানগরীর শাহবাগ ও পল্টন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ওই সাত ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে মহানগর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও গাজীপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করতো। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, সহকারী কমিশনার রিপন চন্দ্র সরকার, আবু সায়েম নয়ন, পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল উপস্থিত ছিলেন।