কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে আনভীরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। সেখানে আবেদনটি কার্যতালিকায় ১৪২৪ নম্বর ক্রমিকে থাকায় এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৯শে সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
আনভীর ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও হাসান ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আনভীর ও তার স্ত্রী আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে আনভীরের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। তবে তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। জামিন আবেদন থেকে আনভীরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রী মোসারাত জাহানকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে নালিশি মামলা দাখিল করেন। অপর ছয়জন হলেন আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, ইব্রাহিম আহমেদ, শারমিন, সাইফা রহমান ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। সেদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। এ মামলায় গত জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গত ১৮ আগস্ট পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এ আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান সায়েম সোবহান আনভীর।
আপনার মতামত দিন