ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৮৪ সালের এই দিনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলাকালে তৎকালীন ২২ দলের হরতাল কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। আজকের দিনে ঢাকার বনানীতে শহীদ ময়েজ উদ্দিনের কবরে পুস্তস্তবকের মাধ্যমে দিনের সূচনা হয়েছে।
ময়েজউদ্দিনের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৭ মার্চ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বড়হরা গ্রামে। ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনায় গঠিত ‘মুজিব তহবিল’ এর আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০-এর নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং ১৯৭৩-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজেও জড়িত ছিলেন তিনি। তৎকালীন বাংলাদেশ রেড ক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি তার মেয়ে।
ময়েজউদ্দিনের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ দলীয় ও পারিবারিকভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে রয়েছে- সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শহীদ ময়েজউদ্দিনের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া, সাড়ে ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, দুপুর ১টায় নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়ার শহীদ ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া ও দরিদ্র ভোজ এবং বিকেল ৪টায় দেওপাড়া শহীদ ময়েজউদ্দিন ফেরিঘাট রেলওয়ে ঈদগাহ ময়দানে মিলাদ মাহফিল ও এতিম-অসহায়দের মধ্যে খাদ্য বিতরণ। কালীগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আয়োজনে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কালীগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।