গাজীপুর: আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বর্তমান মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে আওয়ামীলীগের একটি পক্ষ রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে মেয়রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ এনে মেয়র পক্ষের লোকজন রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৩ বছর অতিক্রম হওয়ার পর চার বছর চলমান থাকা অবস্থায় আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়ে এই উত্তেজনা বলে মনে করছেন নগরবাসী।
আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে গাজীপুর রাজবাড়ির সামনের সড়কে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিঃস্কারের দাবিতে একটি মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। তাই তাকে দল থেকে বহিঃস্কার করা উচিত।
এদিকে মেয়রপন্থী নেতারা বলছেন, সুপার এডিট করে একটি অডিও গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। ওই অডিওতে মেয়রের কন্ঠে যা যা বলা হয়েছে তা মেয়রের বক্তব্য নয়। তারা এই ধরণের ঘৃন্যতম কাজের তীব্র প্রতিবাদ করে দায়ীদের শাস্তির দাবী করেন।
প্রসঙ্গত: গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে মেয়র জাহাঙ্গীরের আলমের একটি অডিও সহ ভিডিও প্রচারিত হয়। ওই ভিডিওকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দলীয় পদ থেকে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বহিঃস্কারের দাবিতে পক্ষে বিপক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। বর্তমানে এই নিয়ে গাজীপুরে রাজনৈতিক মাঠ সরগরম।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে জাহাঙ্গীর আলম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করেন। দলীয় চাপে এক পর্যায়ে আওয়ামীলীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সমর্থন করতে বাধ্য হন জাহাঙ্গীর আলম। ওই নির্বাচনে এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান পরাজিত হন। ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র হন। মেয়র হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের বর্তামানে চার বছর চলছে। ইতোমধ্যে আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী। এ ছাড়া মেয়রের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান করছেন সাংবাদিকদের দুটি পক্ষও। ফলে গাজীপুর মহানগরে মেয়র জাহাঙ্গীর প্রশ্নে দুটি গ্রুপ মাঠে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রশাসনও সতর্ক বলে দেখা গেছে। মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।