কলারোয়া (সাতক্ষীরা): নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় হোসেন আলী নামে এক ভোটারকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এছাড়া জামাল হোসেন নামে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলােরোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের হঠাৎগঞ্জ ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রের বাইরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার ইউপি সদস্য প্রার্থী জামাল হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে চাইলে বাঁধা দেয় সরকার দলীয় নেতারা। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমার ওপরে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। পরে এলাকাবাসী এসে আমাকে উদ্ধার করে। তাদের মারধরে আমার হাত ভেঙে যায়।’
হোসেন আলী নামে এক ভোটার বলেন, ‘আমি কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে গেলে সরকার দলীয় নেতারা আমাকে বাঁধা দেয় এবং নৌকায় ভোট দিতে বলে। এ সময় তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা আমার হাত ভেঙে দেয়।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।