রাজধানীর পল্লবী থানার প্রতারণা এবং গুলশান থানার মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের উপকমিটি থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
আদালতের সেরেস্তাদার মোহাম্মদ রাশেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর দুই মামলায় জামিন পেলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন না পাওয়ার কারণে এখনি মুক্তি পাচ্ছেন না বলে আদালত-সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট পল্লবী থানায় দায়ের করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পান হেলেনা জাহাঙ্গীর।
গত ২৯ জুলাই রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর ৩০ জুলাই দুপুরে এক ম্যাসেজে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় র্যাব। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এ ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় মামলা করা হয়।
গত ৩ আগস্ট পৃথক চার মামলায় আলোচিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মিরপুর থানায় প্রতারণার মামলা এবং পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চার দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীনুর রহমান।
আর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গত ৩০ জুলাই হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছিল।