মিডিয়া দেখে দেশ পরিচালনা করি না

Slider বাংলার মুখোমুখি


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিডিয়াতে কি লিখলো বা টকশোতে কি বললো- ওসব নিয়ে আমি দেশ পরিচালনা করি না, আমি দেশ পরিচালনা করি অন্তর থেকে। আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। এই দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন। সেই মানুষগুলোর জন্য কি কাজ করতে হবে, যেটা শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে, মায়ের কাছ থেকে- আমি সেটাই কাজে লাগাই। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে কিনা সেটা যাচাই করি। কে কি বলল, ওটা শুনে হতাশ হওয়া বা উৎসাহিত হওয়া আমার সাজে না, আমি করি না। এটা হলো বাস্তবতা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদের চতুর্থদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদের অনুপস্থিতিতে উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের সমাপনী বক্তব্য রাখেন। এরপর স্পিকার সংসদ অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে শোনান। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের মানুষের একটা বদঅভ্যাস হয়ে গেছে কথায় কথায় হতাশ হওয়া। আর যতই কাজ করি তারপরও বলবে এটা হলো না কেন, ওটা হলো না কেন? আমি তাদের একটু বলবো; এটা না বলে আগে কি ছিল আর কি আছে, সেটা দেখলেই তো হয়ে যায়। সেটা দেখতে পারবে না? তিনি বলেন, কিছু লোক তো আছে যাদের কাছে- যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। এই অবস্থায় কিছু লোক ভোগে। আর কিছু লোখ আছে তারা হতাশায় ভোগে। তিনি বলেন, দেশের এই দরিদ্র মানুষের জন্য আমার বাবা বঙ্গবন্ধু বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন। আমি দেশ পরিচালনা করি আমার অন্তর থেকে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল পুনরুল্লেখ করে বলেছেন, ‘৭৫-এর হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত, এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। মামলায় আমি তাকে আসামি করতে চেয়েছিলাম। তখন আমাদের হোম সেক্রেটারি ছিলেন রেজাউল হায়াত। তিনি বললেন, মৃত মানুষকে তো আসামি করা যায় না। আমার মনে হয় নামটা থাকা উচিত ছিল। জিয়া যে ষড়যন্ত্রে জড়িত, সেটা ফারুক-রশিদ নিজেরা বলেছে, বিবিসিতে ইন্টারভিউতে। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বইতে আছে, লরেন্স লিফশুলজের বইতে আছে- কীভাবে অস্বীকার করবে?’ জিয়াউর রহমানের আমলে প্রত্যেকটি কারাগারে কত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে রেকর্ড থেকে সেগুলো খুঁজে বের করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশের নামে চট্টগ্রাম থেকে একটি বাক্স সাজিয়ে-গুজিয়ে আনা হয়েছিল। ওই বাক্সে লাশ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত আলী ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মরহুম হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাকে বলেছিলেন, লাশ কোথায় পাবো? প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই যাতে টিকা পায় আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। সবাইকে টিকা দেয়া হবে। ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা নেই। ২৪ কোটি ডোজ টিকা আমরা কিনবো। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের দেশে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চুক্তি হয়েছে। সেখানেও ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।
একটার পর একটা ক্যু আর শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে: সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, জিয়ার আমলে প্রত্যেকটা কারাগারে কত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে, তার রেকর্ড তো থেকে যায়। সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সংসদ সদস্যদের একটা উদ্যোগ নেয়া উচিত, জিয়ার আমলে প্রত্যেকটা কারাগারে কত মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা এবং কুমিল্লায়। একটার পর একটা ক্যু আর শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন। সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর শত শত সৈনিক-কর্মকর্তা এবং মানুষকে সে সময় হত্যা করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো তো থেকে যায় (রেকর্ড), সেগুলো একটু খুঁজে বের করে দেখেন। একেক রাতে ফাঁসি দিতে দিতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল, এখনো এরকম লোক আছে। এ সময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। এদের কাছে জ্ঞানের কথা, আইনের শাসনের কথা শুনতে হয়। অথচ আমি আমার বাবা-মা হত্যার জন্য মামলা করতে পারিনি। আমার কোনো অধিকার ছিল না। তার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবো। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণের কল্যাণ হয়। সেই কল্যাণই হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এক হয়ে এদেশে অগ্নিসংযোগ হত্যা, খুন ধর্ষণ করেছে তাদেরকে এই জিয়া মন্ত্রী, উপদেষ্টা করে সংসদে বসাল। জাতির পিতার খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করলো আর তার থেকে একধাপ উপরে গিয়ে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া কর্নেল রশিদ এবং হুদাকে এমপি বানিয়ে সংসদে বসাল। এইতো তাদের চরিত্র।
জিয়ার লাশ প্রসঙ্গে: প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে জিয়ার কবর (সংসদের সীমানায় থাকা) নিয়ে কথা উঠেছে। জিয়ার মৃত্যু সংবাদের পর তার লাশ পাওয়া যায়নি। গায়েবানা জানাযা হয়েছিল। আর কয়েকদিন পরে একটা বাক্স আনা হলো। তিনি জেনারেল এরশাদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কারো পরামর্শে এটি করা হয়। সাজিয়ে গুজিয়ে একটা বাক্স নিয়ে এসে দেখানো হলো। তখন এই সংসদে বারবার প্রশ্ন এসেছে। যদি লাশ পাওয়া যায় তবে লাশের ছবি থাকবে না কেন? তিনি বলেন, মীর শওকত (মীর শওকত আলী বীরউত্তম) সেই লাশ শনাক্ত করেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে চেনার কারণে প্রধানমন্ত্রী একদিন তাকে যে প্রশ্ন করেন তার উদ্ধৃতি তুলে ধরেন তিনি। মীর শওকতকে বলেছিলাম- সত্যি কথা বলেন তো, সে জবাবে বলেছিলেন লাশ কোথায় পাবো? এমনকি জেনারেল এরশাদকে বারবার এবং মৃত্যুর কিছুদিন আগেও আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম- ‘আপনি যে বাক্স নিয়ে আসলেন লাশটা কোথায় পেলেন?’ জবাবে এরশাদ বলেন- ‘বোন, লাশ পাবো কোথায়?’ আর কি বলবো। কাজেই আজকে যে কথাটা উঠেছে তখন সেটা আমরা বারবার জানতে চেয়েছি এবং তখন যে বিএনপির নেতারা ছিল, তারা কি করে গেছে সেটা আপনারাই দেখেন। বিএনপি’র সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যিই ইতিহাস ফিরে আসে। জাতির পিতার নাম একদিন মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হয়েছিল এমনকি ৭ই মার্চের ভাষণটি পর্যন্ত এদেশে বাজাতে দেয়া হতো না। তিনি বলেন, ২৫শে মার্চ যখন সারা দেশে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছিল চট্টগ্রামেও ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছিল। জিয়াউর রহমান তখন পাকিস্তানি সেনাদের হয়ে যারা ব্যারিকেড দিয়েছিল (মুক্তিযোদ্ধা) তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। পাকিস্তানের সেনাদের পক্ষে এরপর সে গেল সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে। সেখানে পাবলিক ঘেরাও দিয়ে তাকে আটকাল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা তৎকালীন ইপিআর ওয়্যারলেস এবং পুলিশ স্টেশনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে গেল। যে সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়েছিল সেই নেতারা সেটা সংগ্রহ করে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিলো। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কান্টনমেন্টে ছিল সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যে কারণে সব থেকে বেশি মানুষ মারা গেছে সেখানে। এখনো ভাটিয়ারিতে সেই গণকবর রয়ে গেছে। সে যদি সঠিক সিদ্ধান্ত দিতো আমাদের সোলজাররা সেটার ব্যবস্থা নিতে পারতো। কিন্তু সেটা সে করেনি। যেটা অন্যেরা করেছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান করেনি। সরকারপ্রধান বলেন, ২৭ তারিখ সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান কেবল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেছিল। আর এই সংসদে যখন প্রশ্ন উঠলো স্বাধীনতা দিবস ২৬ তারিখ আর জিয়া ঘোষণা দিয়েছে ২৭ তারিখ- তখন ইতিহাস বিকৃতিকারীরা সেই ২৭ তারিখকে ২৬ তারিখ বানিয়ে ফেললো। অথচ ২৬ তারিখ তখন জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিল। তিনি বলেন, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এই দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার সব ব্যবস্থা করে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেখানে একজন মেজরের কথায় সবাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লো আর দেশ স্বাধীন করে ফেলল, তাও কখনো হয়। আর বঙ্গবন্ধুই জিয়াকে প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করেছিলেন, দেশ স্বাধীন না হলে জিয়া কখনো তা হতে পারতেন না। আর জিয়ার মা-বাবা পাকিস্তানে মাইগ্রেট করে এবং জিয়া সেখানেই আর্মিতে ঢোকে। কিন্তু তার পোস্টিং হয় আমাদের বাংলাদেশে। তিনি বলেন, আমাদের দলের বেঈমান তো ছিলই। খন্দকার মোশতাক তো ছিলই। এটা তো অস্বীকার করি না। আমাদের বাড়ির ভাত কার পেটে না গেছে। জিয়াউর রহমান তো খালেদা জিয়াকে নিয়ে মাসে একবার করে আমাদের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার কর্নেল আসলাম বেগ জিয়াউর রহমানকে চিঠি লিখেছিল। ওই চিঠি আমার কাছে আছে। এই সংসদে সেটা তুলে ধরবো। সংসদের প্রসিডিংসে এটা পার্ট হয়ে থাকা দরকার। কর্নেল আসলাম বেগ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়াকে একটি চিঠি দেয়- সেই চিঠিতে সে জিয়াকে লিখেছিল- ‘আপনি খুব ভালো কাজ করছেন। আমরা আপনার কাজে সন্তুষ্ট। আপনার স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ দেয়া হবে। তিনি বলেন, খালেদ মোশাররফ যখন আহত হয়ে যান, তখন মেজর হায়দার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে তো একটা সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর জিয়াউর রহমান যেখানে দায়িত্বে ছিল সেখানে সবথেকে বেশি মানুষ মারা গেছে। পাকিস্তানিদের পক্ষে যাতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুবরণ করেন সেই ব্যবস্থা করছেন কি না, সেটাই আমার প্রশ্ন? জিয়া তখন কি করেছে? এখানে প্রশ্ন আসে একটা সেক্টরের অধিনায়ক হয়ে সেখানে ক্যাজুয়ালিটি বাড়িয়ে দেয়ার মানে কি? সে নিজের হাতে পাকিস্তানি সেনাদের গুলি করতে যায়নি। সে আমাদের নিজেদের লোকদের ঝুঁকিতে ফেলেছে সেটা মেজর হাফিজের বইতেই আছে।
দুদক কেন তদন্ত বন্ধ করেছে? মুজিবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের দেয়া ঘর নিয়ে দুর্নীতি বা অনিয়মের তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন কেন বন্ধ করেছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন? তাদেরতো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তাদেরকে তো তদন্ত চালু রাখতে হবে, তদন্ত করে দেখতে হবে। গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ঘর যারা ভাঙলো, তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল? তারা কেন ভাঙলো? সেটা যদি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে থাকে তাহলে তাদের তদন্ত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ১০ লাখ মানুষকে আমি ঘর তৈরি করে দিয়েছি। এবারের যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নিয়ে একজন এমপি প্রশ্ন তুলেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্নীতি হয়েছে! এটা আমরা তদন্ত করেছি। দেখা গেছে, নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে, আর ১০/১২টি জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পরে গেছে। আর তিনশ’ জায়গায় যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে। তদন্ত করে দেখা গেছে, সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে। ইটের গাঁথুনির পিলার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটাতো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা করা করলো? তদন্ত হচ্ছে, এর মধ্যে কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংসদ নেতা বলেন, আমার প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত বন্ধ করবে কেন? তাদের তো তদন্ত বন্ধ করার কথা না। তাদেরকে তো তদন্ত চালু রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *