উন্মাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে

Slider জাতীয়

3e8fed2d24f93d3c784344cac8766511-Untitled-25

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্মাদ বলে আখ্যায়িত করে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার মানসিক বিকৃতি ঘটেছে বলেই এভাবে হুকুম দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই উন্মাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনী সব ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কথা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার সাথে বসবো? খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসলে তো বার্ন ইউনিটের পোড়া মানুষের গন্ধ পাওয়া যাবে।

রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে ‘এসএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পিছিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে কার্যপ্রণালী বিধি-৬৮ বিধি অনুসারে’ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী একটি নোটিশ দেন সংসদে। এ নোটিশের ও পর আলোচনাকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

খালেদার প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাড়ি ছেড়ে তিনি অফিসে কেন? সেখানে কাদের পাহারা দিচ্ছেন। সেখানে বসে টেলিফোন করে সংহিসতা, মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, অনেকে বলছে অফিসে খাবার ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অফিসে খাবার যাবে কেন? একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে ৫০/৬০জন লোক কী করে? তারা কি রাজনৈতিক কর্মী নাকি সন্ত্রাসী, জঙ্গি। সংসদে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তারা কি রাজনৈতিক কর্মী না কি জঙ্গি। এদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে তাও দেখতে হবে।

সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার সাথে বসবো? খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসলে তো বার্ন ইউনিটের পোড়া মানুষের গন্ধ পাওয়া যাবে। তার সাথে বসা মানে তাদের সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা। যার হাতে পোড়া মানুষের গন্ধ তার সঙ্গে আলোচনা করবো কিভাবে? আর আলোচনা করলেই কি সে মেনে নেবেন? সেতো মেনে নেবে না। কাজেই তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এই মহিলা এদেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন।

জনগণের প্রতি, মানুষের প্রতি এতটুক ভালোবাসা যদি থাকতো তাহলে ছেলে-মেয়ে স্কুলে গেলে তিনি এসব বন্ধ করতেন। তাহলে একটি ঝুঁকি নেওয়া যেত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য যেকোন কাজ করতে পারেন। ২০১৩ সালে আমি সব রকম চেষ্টা করেছি। সংলাপের কথাও বলেছি কিন্তু তিনি আসেননি।

হাসিনা বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। সেই জনগণকেই যদি পুড়িয়ে মারা হয়, তাহলে কিসের রাজনীতি? এটাতো রাজনীতি না সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, এটা জঙ্গিবাদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কি এতোই খেলনা হয়ে গেছে। তাদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? আমরা কোনভাবেই দেশের মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে দিতে পারি না। যেখানে মানুষকে পুড়িয়ে মারা  হচ্ছে। সেখানে কিভাবে আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদেরে পরীক্ষা দিতে পাঠাবো। তাদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূণ। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সব রকম ব্যববস্থা নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *